Breaking News

বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস! পুরো ঘটনা শুনলে গা শিউড়ে উঠবে

Image
 

Kanchankanya Express: চালসা-মালবাজার স্টেশনের মধ্যবর্তী একটি লেভেল ক্রসিং খোলা ছিল বলে অভিযোগ। পার হয়ে যায় কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে চালসা-মালবাজার স্টেশনের মধ্যবর্তী একটি লেভেল ক্রসিংয়ে।

 

জলপাইগুড়ি:- রেল কর্মীর গাফিলতিতে আবার হতেই পারত একটা বড় রেল দুর্ঘটনা! চলে যেতেই পারত বেশ কয়েকটি প্রাণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমন কোনও পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি। ট্রেন চালক তথা ট্রেনের অন্যান্য কর্মীদের তৎপরতায় বরাত জোর প্রাণে বেঁচে গেলেন বেশ কয়েকজন পথচারী।

 

জানা যায়, শিয়ালদাগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস চালসার দিক থেকে প্রচন্ড গতিতে মালবাজারের দিকে ছুটছিল। এই পথে চা বাগানের ভেতর দিয়ে বেশ কয়েকটি রেলগেট রয়েছে। এমনই একটি রেলপথ শোনগাছি চা বাগান এলাকায়। দ্রুত গতিতে ছুটে আসার ট্রেন থেকে হঠাৎ চালক দেখতে পান রেল গেট নামানো নেই। অথচ সিগন্যালে সবুজ বাতি অর্থাৎ থ্রু পাস। রেল গেটের গার্ড পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে না থাকায় চালকের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে গাড়ি থামিয়ে দেন চালক। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেনটি প্রায় রেলগেট ছুঁয়ে গেছে।

 

রেলগেট খোলা থাকায় সেই সময় প্রচুর বাইক, সাইকেল এবং ছোট গাড়ি পারাপার করছিল সেই লাইনের ওপর দিয়ে। হঠাৎ ট্রেনের হর্ণ এবং ব্রেকের শব্দে দুই পাশে দাঁড়িয়ে পড়েন পথচারীরা। ফলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘ট্রেন টানা হর্ন না দিলে আমরা রেললাইনে উঠেই পড়তাম।’

 

এদিন ট্রেন থামিয়ে নেমে আসেন চালক এবং অন্যান্য কর্মীরা। রেলের ম্যানুয়ালে বলা আছে এমন পরিস্থিতিতে খোঁজ নিতে হবে গেটম্যানের। অনেক সময় অসুস্থতা বা অন্য কোনও গুরুতর কারণে গেটম্যান সিগন্যাল না দিলে এভাবেই সেই রেলকর্মীর খোঁজ নেন ট্রেনের চালক ও গার্ড। কিন্তু গেটম্যানের ঘরে ঢুকতেই অবাক সবাই। বহাল তবিয়তেই রয়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইতে থাকেন সেই রেলকর্মী। কিন্তু ততক্ষণে খবর পৌঁছে গেছে স্টেশন পর্যন্ত।

 

কিন্তু ততক্ষণে খবর পৌঁছে গেছে স্টেশন পর্যন্ত।কিন্তু কর্তব্যরত অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিযুক্ত থাকা রেল কর্মীর কেন এই গাফিলতি উঠছে প্রশ্ন! তবে এবিষয়ে কোন রকম মন্তব্য করতে চায়নি রেল আধিকারিকরা।

Share With:


Leave a Comment

  

Other related news