অনেক রোগে মিলবে উপশম ,সদ্যজাতের মালিশে এই প্রেসার পয়েন্ট গুলো টিপুন

সদ্যজাতের মালিশে এই প্রেসার পয়েন্টগুলি টিপুন! অনেক রোগে মিলবে উপশম
সদ্যজাতের বৃদ্ধির জন্য ম্যাসাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বয়স্করা সবসময় মালিশ করার সঠিক উপায় বলে দেন। কিন্তু এই পদ্ধতি শুধুমাত্র তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই সঠিক নয়, এর বৈজ্ঞানিক সুবিধাও রয়েছে। আকুপ্রেসার কৌশলে বলা হয়েছে যে নবজাতকের নির্দিষ্ট কিছু প্রেসার পয়েন্ট ম্যাসাজ করলে তারা শুধু ব্যথা থেকে মুক্তি পায় না পেটের গ্যাস, জ্বর, দাঁতের সমস্যা এবং সর্দি-কাশি থেকেও মুক্তি পায়। শিশুকে ম্যাসাজ করার সময়, এই চাপের পয়েন্টগুলি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। যাতে আপনি ভালোভাবে মালিশ করতে পারেন এবং শিশুর বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারেন।
শরীরের ব্যথায়
শিশুদের মালিশ করলে ব্যথা উপশম হয়। মালিশ করার সময় শিশুর পায়ের আঙ্গুল ও হাতের তালু হালকাভাবে চেপে মালিশ করা উচিৎ। এই জায়গাগুলিতে রিফ্লেক্স পয়েন্ট রয়েছে। যা টিপলে শিশুটি আরাম পায় এবং সে গভীর ঘুমে ঘুমায়।
কাশি
যদি নবজাতক শিশুর কাশি হয় এবং তার বুক টানটান অনুভূত হয়, তাহলে আঙ্গুলের নখের ঠিক নীচে এবং নাকের উপরে তৈরি চাপের পয়েন্টগুলি টিপুন।
এই অংশটি হালকা হাতে টিপুন তবে বাচ্চাকে চিমটি না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এটি শিশুকে স্বস্তি দেবে।
এ ছাড়া সরিষার তেল দিয়ে শিশুর বুকে ও ঘাড়ে আলতোভাবে মালিশ করুন।
জ্বরে
নবজাতক শিশুর জ্বর হলে বুড়ো আঙুলের নখের ঠিক নিচে প্রেসার পয়েন্টে চাপ দিন।
১০-২০ সেকেন্ড চাপ দিলে শিশু আরাম পায়।
প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টা অন্তর এই প্রেসার পয়েন্ট টিপতে থাকুন যতক্ষণ না শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে আসে।
যখন শিশু ঘুমায় না তখন এই প্রেসার পয়েন্টে টিপুন
নবজাতককে ম্যাসাজ করার সময়, প্রতিদিন ভ্রুর মাঝে উপস্থিত প্রেসার পয়েন্টটি টিপুন। এই অংশটি ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড হালকাভাবে চেপে রাখলে শিশু তাড়াতাড়ি ঘুমাতে শুরু করে। রাতে শিশুর ঘুম না হলে এই প্রেসার পয়েন্টে চাপ দিলে তার ঘুম হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য
যদি শিশুটির কোষ্ঠকাঠিন্যের হয় এবং নবজাতককে ওষুধ দিতে না চান, তাহলে প্রেসার পয়েন্ট কৌশল অনুসরণ করুন।
নবজাতকের নাভির চারপাশে আঙ্গুলগুলি রাখুন এবং আঙ্গুল দিয়ে আলতো করে পেটে চাপ দিন।
তারপর নাভির দুই পাশে দশবার চাপ দিন।
নাভির চারপাশে বৃত্তাকার গতিতে আঙ্গুলগুলি সরান।
শেষে, আপনার আঙ্গুল দিয়ে একটি পূর্ণ বৃত্তে নবজাতকের পেট সরান। এতে করে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম হয়।
Leave a Comment